Quran
Research

বেশী বেশী ধারণা ও অনুমান থেকে বিরত থাকা:
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوا اجۡتَنِبُوۡا کَثِیۡرًا مِّنَ الظَّنِّ ۫ اِنَّ بَعۡضَ الظَّنِّ اِثۡمٌ وَّلَا تَجَسَّسُوۡا وَلَا یَغۡتَبۡ بَّعۡضُکُمۡ بَعۡضًا ؕ اَیُحِبُّ اَحَدُکُمۡ اَنۡ یَّاۡکُلَ لَحۡمَ اَخِیۡہِ مَیۡتًا فَکَرِہۡتُمُوۡہُ ؕ وَاتَّقُوا اللّٰہَ ؕ اِنَّ اللّٰہَ تَوَّابٌ رَّحِیۡمٌ
হে মুমিনগণ! অনেক রকম অনুমান থেকে বেঁচে থাক। কোন কোন অনুমান গুনাহ। তোমরা কারও গোপন ত্রুটির অনুসন্ধানে পড়বে না এবং তোমাদের একে অন্যের গীবত করবে না। তোমাদের মধ্যে কেউ কি তার মৃত ভাইয়ের গোশত খেতে পছন্দ করবে? এটাকে তো তোমরা ঘৃণা করে থাক। তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ অতি তাওবা কবুলকারী, পরম দয়ালু।
আল হুজুরাত (আয়াত: ১২)
অনুমান নির্ভর হয়ে সত্য প্রত্যাখ্যান করা যাবে না:
وَ مِنۡهُمۡ اُمِّیُّوۡنَ لَا یَعۡلَمُوۡنَ الۡکِتٰبَ اِلَّاۤ اَمَانِیَّ وَ اِنۡ هُمۡ اِلَّا یَظُنُّوۡنَ فَوَیۡلٌ لِّلَّذِیۡنَ یَکۡتُبُوۡنَ الۡکِتٰبَ بِاَیۡدِیۡهِمۡ ٭ ثُمَّ یَقُوۡلُوۡنَ هٰذَا مِنۡ عِنۡدِ اللّٰهِ لِیَشۡتَرُوۡا بِهٖ ثَمَنًا قَلِیۡلًا ؕ فَوَیۡلٌ لَّهُمۡ مِّمَّا کَتَبَتۡ اَیۡدِیۡهِمۡ وَ وَیۡلٌ لَّهُمۡ مِّمَّا یَکۡسِبُوۡنَ
এদের মধ্যে দ্বিতীয় একটি দল হচ্ছে নিরক্ষরদের ৷ তাদের কিতাবের জ্ঞান নেই, নিজেদের ভিত্তিহীন আশা-আকাংখাগুলো নিয়ে বসে আছে এবং নিছক অনুমান ও ধারণার ওপর নির্ভর করে চলছে ৷ কাজেই তাদের জন্য ধ্বংস অবধারিত যারা স্বহস্তে শরীয়াতের লিখন লেখে তারপর লোকদের বলে এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে এসেছে ৷ এভাবে তারা এর বিনিময়ে সামান্য স্বার্থ লাভ করে ৷ তাদের হাতের এই লিখন তাদের ধ্বংসের কারণ এবং তাদের এই উপার্জনও তাদের ধ্বংসের উপকরণ ৷
আল বাক্বারাহ (আয়াত: ৭৮-৭৯)
سَيَقُولُ الَّذِينَ أَشْرَكُوا لَوْ شَاءَ اللَّهُ مَا أَشْرَكْنَا وَلَا آبَاؤُنَا وَلَا حَرَّمْنَا مِن شَيْءٍ ۚ كَذَٰلِكَ كَذَّبَ الَّذِينَ مِن قَبْلِهِمْ حَتَّىٰ ذَاقُوا بَأْسَنَا ۗ قُلْ هَلْ عِندَكُم مِّنْ عِلْمٍ فَتُخْرِجُوهُ لَنَا ۖ إِن تَتَّبِعُونَ إِلَّا الظَّنَّ وَإِنْ أَنتُمْ إِلَّا تَخْرُصُونَ
এ মুশরিকরা (তোমাদের এসব কথার জবাবে) নিশ্চয়ই বলবে, যদি আল্লাহ চাইতেন তাহলে আমরা শিরকও করতাম না, আমাদের বাপ-দাদারাও শিরক করতো না৷ আর আমরা কোন জিনিসকে হারামও গণ্য করতাম না৷ এ ধরনের উদ্ভট কথা তৈরী করে করে এদের পূর্ববর্তী লোকেরাও সত্যকে প্রত্যাখ্যান করেছিল, এভাবে তারা অবশেষে আমার আযাবের স্বাদ গ্রহণ করেছে৷ এদেরকে বলে দাও, তোমাদের কাছে কোন জ্ঞান আছে কি ? থাকলে আমার কাছে পেশ করো৷ তোমরা তো নিছক অনুমানের ওপর চলছো এবং শুধুমাত্র ধারণা ও এ আন্দাজ করা ছাড়া তোমাদের কাছে আর কিছুই নেই ৷
আল আন-আম (আয়াত: ১৪৮)
وَمَا يَتَّبِعُ أَكْثَرُهُمْ إِلَّا ظَنًّا ۚ إِنَّ الظَّنَّ لَا يُغْنِي مِنَ الْحَقِّ شَيْئًا ۚ إِنَّ اللَّهَ عَلِيمٌ بِمَا يَفْعَلُونَ
আসলে তাদের বেশীরভাগ লোকই নিছক আন্দাজ -অনুমানের পেছনে চলছে৷ অথচ আন্দাজ -অনুমান দ্বারা সত্যের প্রয়োজন কিছুমাত্র মেটে না৷ তারা যা কিছু করছে তা আল্লাহ ভালভাবেই জানেন৷
ইউনুস (আয়াত: ৩৬)
أَلَا إِنَّ لِلَّهِ مَن فِي السَّمَاوَاتِ وَمَن فِي الْأَرْضِ ۗ وَمَا يَتَّبِعُ الَّذِينَ يَدْعُونَ مِن دُونِ اللَّهِ شُرَكَاءَ ۚ إِن يَتَّبِعُونَ إِلَّا الظَّنَّ وَإِنْ هُمْ إِلَّا يَخْرُصُونَ
জেনে রেখো, আকাশের অধিবাসী, হোক বা পৃথিবীর , সবাই আল্লাহর মালিকানাধীন৷ আর যারা আল্লাহকে বাদ দিয়ে (নিজেদের মনগড়া) কিছু শরীকদের ডাকছে তারা নিছক আন্দাজ ও ধারণার অনুগামী এবং তারা শুধু অনুমানই করে৷
ইউনুস (আয়াত: ৬৬)
وَقَالُوا مَا هِيَ إِلَّا حَيَاتُنَا الدُّنْيَا نَمُوتُ وَنَحْيَا وَمَا يُهْلِكُنَا إِلَّا الدَّهْرُ ۚ وَمَا لَهُم بِذَٰلِكَ مِنْ عِلْمٍ ۖ إِنْ هُمْ إِلَّا يَظُنُّونَ
এরা বলে: জীবন বলতে তো শুধু আমাদের দুনিয়ার এই জীবনই৷ আমাদের জীবন ও মৃত্যু এখানেই এবং কালের বিবর্তন ছাড়া আর কিছুই আমাদের ধ্বংস করে না৷ প্রকৃতপক্ষে এ ব্যাপারে এদের কোন জ্ঞান নেই৷ এরা শুধু ধারণার বশবর্তী হয়ে এসব কথা বলে৷
আল জাসিয়াহ (আয়াত: ২৪)
ধারণাবশত কারও বিরুদ্ধে কিছু না করা:
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِنْ جَاءَكُمْ فَاسِقٌ بِنَبَإٍ فَتَبَيَّنُوا أَنْ تُصِيبُوْا قَوْمًا بِجَهَالَةٍ فَتُصْبِحُوْا عَلَى مَا فَعَلْتُمْ نَادِمِيْنَ-
‘হে মুমিনগণ! কোন ফাসিক যদি তোমাদের নিকট কোন বার্তা নিয়ে আসে তোমরা তা পরীক্ষা করে দেখবে, যাতে অজ্ঞতাবশত: কোন সম্প্রদায়কে তোমরা কষ্ট না দাও অতঃপর তোমাদের কৃতকর্মের জন্যে লজ্জিত হয়ে যাও।’
আল হুজুরাত (আয়াত: ৬)
অধিকাংশ মানুষ ধারণার ভিত্তিতে চলে:
وَإِنْ تُطِعْ أَكْثَرَ مَنْ فِي الْأَرْضِ يُضِلُّوكَ عَنْ سَبِيلِ اللهِ إِنْ يَتَّبِعُونَ إِلَّا الظَّنَّ وَإِنْ هُمْ إِلَّا يَخْرُصُونَ
‘তুমি যদি দুনিয়াবাসীর অধিকাংশ লোকের অনুসরণ কর, তবে তারা তোমাকে আল্লাহর পথ থেকে বিভ্রান্ত করবে। তারা নিছক ধারণা ও অনুমানেরই অনুসরণ করে, আর তারা ধারণা ও অনুমান ছাড়া কিছুই করছে না’।
আল আন-আম (আয়াত: ১১৬)
মুনাফিকদের মন্দ ধারণার নিন্দা:
بَلْ ظَنَنْتُمْ أَنْ لَنْ يَنْقَلِبَ الرَّسُولُ وَالْمُؤْمِنُونَ إِلَى أَهْلِيهِمْ أَبَدًا وَزُيِّنَ ذَلِكَ فِي قُلُوبِكُمْ وَظَنَنْتُمْ ظَنَّ السَّوْءِ وَكُنْتُمْ قَوْمًا بُوْرًا
‘বরং তোমরা ধারণা করেছিলে যে, রাসূল (সা.) ও মুমিনগণ তাদের পরিবার-পরিজনের কাছে কিছুতেই ফিরে আসবে না। আর এ ধারণা তোমাদের জন্য খুবই সুখবর ছিল। তোমরা মন্দ ধারণার বশবর্তী হয়েছিলে, আর তোমরা ছিলে ধ্বংসমুখী সম্প্রদায়’
আল ফাত্‌হ (আয়াত: ১২)
মুমিনদের ব্যাপারে কোনো সংবাদ আসলে ভালো ধারণা রাখা উচিত:
لَوْلَا إِذْ سَمِعْتُمُوهُ ظَنَّ الْمُؤْمِنُونَ وَالْمُؤْمِنَاتُ بِأَنْفُسِهِمْ خَيْرًا وَقَالُوا هَذَا إِفْكٌ مُبِينٌ
‘যখন তোমরা একথা শুনলে তখন মুমিন পুরুষ ও মুমিনা নারীগণ নিজেদের বিষয়ে কেন ভাল ধারণা করনি এবং বলনি এটা সুস্পষ্ট অপবাদ?’
আন-নূর (আয়াত: ১২)
প্রকৃত সত্যের মুকাবালায় অনুমান কোনই কাজে আসে না:
আন-নাজম (আয়াত: ২৮)
প্রকৃত সত্যের মুকাবালায় অনুমান কোনই কাজে আসে না:
وَمَا لَهُمۡ بِهٖ مِنۡ عِلۡمٍ​ؕ اِنۡ يَّتَّبِعُوۡنَ اِلَّا الظَّنَّ​ۚ وَاِنَّ الظَّنَّ لَا يُغۡنِىۡ مِنَ الۡحَـقِّ شَيۡـًٔـاۚ‏
অথচ এ বিষয়ে তাদের কোনই জ্ঞান নেই, তারা কেবল অনুমানেরই অনুসরণ করছে, আর প্রকৃত সত্যের মুকাবালায় অনুমান কোনই কাজে আসে না।
আন-নাজম (আয়াত: ২৮)
অনুমানভিত্তিক হালাল-হারাম ঘোষণার ব্যাপারে সতর্ক হতে হবে:
وَلَا تَقُوۡلُوۡا لِمَا تَصِفُ اَلۡسِنَـتُكُمُ الۡكَذِبَ هٰذَا حَلٰلٌ وَّهٰذَا حَرَامٌ لِّـتَفۡتَرُوۡا عَلَى اللّٰهِ الۡكَذِبَ​ؕ اِنَّ الَّذِيۡنَ يَفۡتَرُوۡنَ عَلَى اللّٰهِ الۡكَذِبَ لَا يُفۡلِحُوۡنَؕ‏
“তোমরা মিথ্যা জিনিসকে নিজেদের জিহ্বা দিয়ে বলো না: ‘এটি হালাল, আর এটি হারাম’, যাতে তোমরা আল্লাহর নামে মিথ্যা আরোপ করো। যারা আল্লাহর নামে মিথ্যা বলে, তারা কখনো সফল হবে না।”
নাহল (আয়াত: ১১৬)